সারাদেশ

বিএনপির উচিত ২৭শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা সাইফুল ইসলাম এমপি

অমিত সূএধর

২৬ মার্চ ২০২৪ , ১০:৩৪:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

সাভার উপজেলা প্রতিনিধি

আজ মঙ্গলবার সাভার উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক জাতীয় শহীদদের সন্মানে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভার অধর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় অনুষ্ঠিত হয়।

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি মন্জুরুল আলম রাজীব, ডাঃ সায়েমুল হুদা -সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা,হাজী আব্দুল গনি,পৌর মেয়র-সাভার পৌরসভা,নূরে আলম সিদ্দিকী নিঊটন -৪নং হ ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাভার পৌর সভা,রমজান আহমেদ-১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, মোঃ মশিউর রহমান সম্রাট,মোঃশাহ জামান,ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানা সহ জাতির বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর ইন কমান্ড মাইনঊদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার আমাদের মুক্তি যোদ্ধাদের অনেক কিছু দিয়েছেন।কিন্তুু পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের মনে রাখার জন্য স্থানীয় রাস্তার নামকরন গুলো যদি করে দিতে মুক্তি যোদ্ধাদের নামে আপনার এই ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবো না। সাভারে জাতীয় ভাবে একটি কবর স্থান দরকার। মার্চ মাস বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাস। এ মাসেই বাংলাদেশের রূপকার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম। আবার এ মাসেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর জীবনের ইতিহাস কোন ব্যক্তিগত ইতিহাস নয়,নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের ইতিহাস, একটি জাতির মুক্তির ইতিহাস।

এসময় ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী- লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সাভারের অধর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন,,উনি (জিয়াউর রহমান) যদি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক হয়, বিএনপির উচিত ২৭শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা। কারণ জিয়াউর রহমান ২৭ শে মার্চ চিটাগং থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা পত্র পাঠ করেছিলেন। একজন মেজর কোনদিনই একটি দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক হতে পারে না।

এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আরোও বলেন,২৬ শে মার্চের অগ্রভাগে আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই জন্যেই আমরা ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করি। তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান ২৭শে মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেডিও স্টেশন থেকে স্পষ্ট ভাবে বলে-ছিলেন,আমি মেজর জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ঘোষণা করছি,আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে। আমাদের দেশে যে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছে এটি একটি রেডিও স্টেশন থেকে সরকারি ভাবে প্রচার করার জন্যেই সেদিন জিয়াউর রহমান চিটাগং ছিলেন। যার কারণে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি সেই পত্রটি পাঠ করেছেন মাত্র। উনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক নন। উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা মাত্র। ।

এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধার রাস্তায় নামকরণের ব্যাপারে বলেন ,আমি মহান সংসদে এই কথা উপস্থাপন করবো এবং আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগে নামের তালিকা নিয়ে রাস্তার নাম করনের উদ্ভোধন করবো।

আপনারা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন,ভালো থাকবেন ।

উক্ত অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজ সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিজয়ীদের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেয়া হয় এবং জাতীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সন্মাননা ফুল ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন :

আরও খবর

Sponsered content